ফেসবুকে পরিচয়ের সুত্রে প্রেমের সম্পর্ক হয় আলিউর রহমানের সাথে এক তরুণীর। এক পর্যায়ে তা গড়ায় শারীরিক সম্পর্কেও। বিয়ের আশ্বাসে প্রেমিককে সব বিলিয়ে
দিয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু হঠাৎ প্রেমিক উধাও।এখন বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন ওই তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইলে। প্রেমিকা বাড়িতে আসার পর থেকে তিনি পলাতক।
বিয়ের দাবিতে ছয়দিন ধরে আলিউর রহমান নামের বাড়িতে অবস্থান করছেন তরুণী (১৯)। অভিযুক্ত প্রেমিক আলীউর উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের চামারুল্লাহ গ্রামের শাহেদ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। তরুণী একই উপজেলার বাসিন্দা।
চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মতিউর রহমান সেজু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই তরুণী গত ছয়দিন ধরে বিয়ের দাবিতে আলিউর রহমানের বাড়িতে অবস্থান করছেন। ১ সেপ্টেম্বর আলিউরের বাড়িতে এ বিষয়ে সালিশও হয়েছিল। সেখানে মেয়েকে ৫০ শতাংশ জমি লিখে দিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু, ছেলে নিখোঁজ। তাই, বিষয়টির সমাধান হচ্ছে না।
তরুণী জানান, চার মাস আগে ফেসবুকে আলিউরের পরিচয় হয়। পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভনে আলিউর ময়মনসিংহের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। হঠাৎ আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এজন্য বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে এসে অবস্থান নিয়েছি। বিয়ে না করে আমি যাবো না।
চন্ডিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবউদ্দিন ভূঁইয়া জানান, সালিশে ওই তরুণীকে জমি লিখে দিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু, ছেলের বাবা রাজি না। ছেলেও পলাতক। সোমবারের মধ্যে যদি ওই তরুণীকে আলীউর বিয়ে না করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হবে।
নান্দাইল মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে আমরা কিছু করতে পারবো না।